Achievement and success
অর্জন ও সাফল্য ঃ কলেজটি ২০০০ সালে যশোর বোর্ড ও জেলা প্রশাসন বাগেরহাট কতৃক নকলমুক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০০১ ও ২০০২ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে এটি অত্র এলাকার শ্রেষ্ট কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ২০০৩ সালে বাগেরহাট ফাউন্ডেশন কতৃক কলেজটি জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে গণ্য হয়। ২০০৪ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে এটি উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে কারিগরি বোর্ড এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ ছাইফুল হক ২০০৩ সালে যশোর বোর্ড এর কলেজ পরিদর্শক জনাব আব্দুল ২০০৪ সালে যশোর বোর্ড এর চেয়ারম্যান জনাব প্রফেসর আঃ সাত্তার এবং ২০০৪ সালেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক জনাব এম,এ রশিদ কলেজটিকে একটি মডেল কলেজ হিসেবে ভুয়ষী প্রশংসা করে কলেজ পরিদর্শক বহিতে স্বাক্ষর করেন। ২০১১ সালের ৭ জুন বাগেরহাট – ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীন কলেজের ১৫২ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা পদক প্রদান করেন যাদের মধ্যে স্নাতক উত্তীর্ণ (১ম বিভাগ প্রাপ্ত ) ৫০ জন এবং উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ (জি, পি, এ ৫.০০ প্রাপ্ত) ১০২ জন ছাত্রী অন্তর্ভুক্ত ছিল। ঐ অনুষ্ঠানে বাগেরহাট জেলার তদানীন্তন জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আকরাম হোসেন কলেজটিকে বাগেরহাটের শ্রেষ্ট কলেজ হিসেবে অভিহিত করে কলেজটিকে জাতীয় করণ করার জোর দাবী জানান। ২০১২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন কলেজ পরিদশ<ক জনাব ডঃ আনোয়ার হোসেন কলেজের ৫৩ জন কৃতিছাত্রীকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের তাৎক্ষনিক বক্তব্য ও প্রত্যুতপন্নমতিত্বে অভিতূত হয়ে এদেরকে রাজধানী ঢাকার প্রথম শ্রেণির যে কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে তুলনীয় মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন। ২০১২ সালে জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় কলেজটি অঞ্চল সেরা হয়। ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতায় কলেজের ছাত্রী জেলা ও বিভাগ উভয় পর্যায়ে শ্রেষ্টত্বের পদক লাভ করে এবং ২০১৩ সালেই আই জিনিয়াস প্রতিযোগিতায় জেলার সেরা ১০ জন জিনিয়াসের মধ্যে এই কলেজের ৪ জন ছাত্রী কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে। ২০১৪ সালে দুদক আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় কলেজের বিতার্কিক দল দেশসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে যুগপৎ ভাবে কলেজটি উপজেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ এবং এর শিক্ষক জনাব কামরুন্নাহার শিউলী শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন । ২০১৮ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে কলেজের ছাত্রী প্রিয়াংকা বর্মণ শিক্ষক গৌরিষবালা এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ জনাব অমিত রায় চৌধুরী স্ব স্ব ক্যাটিগরিতে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্টত্ব অর্জন করেন। সম্প্রতি পরিচালিত শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নীরিক্ষা ও পরিদর্শনোত্তর পেশকৃত প্রতিবেদনে কর্মকর্তাগণ কলেজটিকে নারী শিক্ষার জন্য একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে মন্তব্য করেছেন যে, অত্র জনপদে নারী শিক্ষা বিস্তারে কলেজটি তাৎপর্য পূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বর্তমানে কলেজের ছাত্রীরা মানসম্মত শিক্ষাসেবা গ্রহন করে বুয়েট,পাবলিক মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা রাজশাহী জাহাঙ্গীর নগর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত আছে। আবার অনেকেই সফলভাবে পাঠ সমাপ্তির পর প্রকৌশলী চিকিৎসক, সিভিল সার্ভিস, ব্যাংকার, পুলিশ এমনকি কমিশন্ড আর্মি অফিসার হিসেবে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করেছে।