College History

Picture

কলেজের ইতিহাস:
পটভূমি ঃ ১৯৯৫ সালের ২১ জুলাই জননেত্রী শেখ হাসিনার আশির্বাদধন্য  বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষপুত্র  জননেতা শেখ হেলাল উদ্দিনের পৃষ্ঠপোষকতায় সাবেক গণপরিষদ সদস্য শেখ আলি আহম্মদের নেতৃত্বে স্থানীয় বিদ্যানুরাগীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এই মহিলা কলেজটি। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক  শেখ আলি আহম্মদ কতৃক কলেজের অনুকুলে  অত্যন্ত  মূল্যবান  জমিদান  কলেজের ইতিহাসে  একটি স্মরনীয় অবদান হিসেবে চিরকাল সমাদৃত হবে। সমসাময়িক  আর্থসামাজিক বাস্তবতায়  নারী শিক্ষার উপযোগী পৃথক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য সমাজ মানসে প্রস্তুত আকাঙ্খার পটভূমিতে ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কলেজের প্রতিষ্ঠা যে সময়োপযোগী  ও বিচক্ষণ উদ্যোগ ছিল তা প্রমান করতে বেশী সময় লাগেনি। বিদ্যামান প্রেক্ষিত ও চাহিদার সবেচ্চ  সদ্ব্যবহার করতে অগ্রনী ভূমিকা রেখে চলেন নিযুক্ত  শিক্ষকগণ ।  একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, প্রান্তবর্তী    জনগোষ্ঠীর নারী শিক্ষাবিস্তারে কলেজটি  এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে চলেছে। সন্নিহিত জনপদের নারী শিক্ষার্থীদের শুধু বিনাবেতনে শিক্ষা সেবাই প্রদান করছেনা বরং তাদের কন্যা সন্তানদের নূন্যতম ব্যয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে উন্নত জীবন যাপনের নিরন্তর স্বপ্ন দেখিয়ে চলেছে কলেজটি। 

অবস্থান ঃ  কলেজটি ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন  রুপসা বাগেরহাট মহাসড়কের পাশে সবুজ গাছপালা বেষ্টিত  দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে ৪.২৬ একর জমির উপর  এক গৌরবজ্বল ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে  দাড়িয়ে আছে।  

নামকরণ ঃ মুক্তিযুদ্ধ  চলাকালে জাতির জনকের অনুপস্থিতিতে ও দেশের সকল স্বাধিকার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে  অবিচলভাবে সমর্থন ও প্রেরণা যুগিয়ে যে মহিয়ষী নারী বঙ্গভূমে  জাতীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে অনতিক্রম্য উচ্চতায় আসীন হয়েছেন সেই বঙ্গমাতার নামানুসারে তারই স্মৃতিসিক্ত ফকিরহাটে এই কলেজর নামকরণ করা হয় ফকিরহাট ফজিলাতুন্নেছা মজিব মহিলা ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়। 

যে ভাবে পথ চলা ঃ ১৯৯৫ সালে কলেজের যাত্রা শুরু। জন্মলগ্ন থেকেই পাবলিক পরীক্ষার ধারাবাহিক সাফল্য সকলের নজর কাড়ে। ক্রমান্নয়ে পাঠদানে আসে অভিনবত্ব ও সৃজনশীলতা । প্রশাসনিক ও একাডেমিক ক্ষেত্রে আসে সচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ও দায়বদ্ধতা । দূণীতির বিরুদ্ধে অবস্থান বিভিন্ন জাতীয় দিবসে দেশপ্রেম উদ্দীপক অনুষ্ঠানমালা প্রগতিশীল মননশীলতা বিনির্মাণে সভা সেমিনার বিতর্ক অনুষ্ঠান কলেজটিকে অত্র অঞ্চলে প্রচারের পাদপ্রদীপে নিয়ে আসে। 

অধিভূক্তি ঃ  কলেজটি ১৯৯৭ সালে যশোর বোর্ড কতৃক উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ১৯৯৮ সালে কারিগরি বোর্ড কতৃক  বি,এম পর্যায়ে ১৯৯৮ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক  স্নাতক (পাস) পর্যায়ে এবং ২০০৮ সালে  জাতীয়  বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক স্নাতক (সম্মান)পর্যায়ে  অধিভূক্তি লাভ করে। 

জাতীয় করণ ঃ  দক্ষিণ বাংলার  উন্নয়নের রপকার জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীন ৭ ই জুন২০১১ সালে  এই কলেজে অনুষ্ঠিত কৃতি শিক্ষার্থী সম্মাননা অনুষ্ঠানে  ২ সহস্রাধিক ছাত্রীর  উপস্থিতিতে ঘোষণা  করেন যদি সরকার কখনও  প্রতিষ্ঠান জাতীয় করণের নীতিমালা গ্রহণ করে তবে তিনি এই কলেজের ধারাবাহিক ও বিশ্ময়কর সাফল্য বিবেচনায়  এনে  মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে  এই প্রতিষ্ঠানটিকে আত্মীকরণের জন্য আবেদন জানাবেন। তিনি তার কথা রেখেছেন। ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জ্ঞান ভিত্তিক জাতি গঠনে যা কিছু প্রয়োজন যথা সময়ে তাই তিনি করবেন মর্মে ঘোষনা করেন। অতপর ০৩.০০১.০০০.০০.০৬.২০১৪-৯৫ তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৪ নং  স্মারক সূত্রে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ফকিরহাট ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা ডিগ্রি  মহাবিদ্যালয়টিকে  সরকারি করণের লক্ষে কার্যকর ব্যবস্থা  গ্রহণের জন্য  শিক্ষা সচিব বরাবর তার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। তারই প্রেক্ষিতে সকল প্রক্রিয়া  সম্পন্ন করে ৮ আগষ্ট  ২০১৮  তারিখ  জি, ও জারির মাধ্যমে কলেজটি জাতীয় করণের অন্তর্ভূক্ত হয়। 


যাদের কাছে কৃতজ্ঞ ঃ  কলেজের সার্বিক  উন্নয়ন ও পরিচারনায়  বিভিন্ন  পর্যায়ে  প্রজতন্ত্রের  যে সকল মান্যবর  মন্ত্রী, কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি  ও সমাজসেবীগণ ঐতিহাসিক অবদান রেখেছেন এই কলেজ চিরদিন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। তারা হলেন মাননীয়  প্রধান মন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা  জনাব ডাঃ এস,এ মালেক , সাবেক মন্ত্রী জনাব ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক মন্ত্রী জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী  জনাব আনিসুল হক  চৌধুরী, সবেক মন্ত্রী জনাব তালুকদার আব্দুল  খালেক , সাবেক মন্ত্রী জনাব কণে<ল ফারুক আহম্মেদ খান, সাংসদ জনাব কাজী রহমাতুল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য জনাব নূর আফরোজ আলী, সাবেক সচিব জনাব খুরশিদ আলম , সাবেক  ডিজি জনাব ডাঃ মাখদুমা নার্গিস, সাবেক অতিরিক্ত  সচিব জনাব পিউস কস্তা অতিরিক্ত সচিব জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সচিব জনাব মোঃ  আকরাম  হোসেন, যুগ্ম সচিব জনাব মোঃ শুকুর আলী, উপসচিব জনাব গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ,  যুগ্ম সচিব  জনাব পলাশকান্তি বালা, যুগ্ম সচিব জনাব মোঃ হোসেন আলী খোন্দকার যুগ্ম সচিব জনাব মোঃ আসলাম হোসেন, যুগ্ম সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম যুগ্ম সচিব জনাব তপন কুমার বিশ্বাস, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব শেখ কামরুজ্জামান টুকু জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ মামুনুর রশিদ,জনপ্রতিনিধি ও সমাজ সেবী জনাব স্বপন দাস, মরহুম সরদার নিয়ামত হোসেন, মরহুম খান জাহিদ হাসান, জনাব কামরুল ইসলাম  গোরা, জনাব, শেখ মোশাররফ হোসেন, মরহুম জনাব শফিকুর রহমান টুকুন, মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরী, মিসেস মেহেরুন্নেছা, কাজী ইসমাইল সিদ্দিকী  মিসেস শিরিনা আক্তার  ও মোঃ রেজাউল করিম ফকির।